সোমবার, ৯ মার্চ, ২০১৫

বাংলা লিখনের আজন্ম দুর্দশা ঘুচুক --৪র্থ



বাংলা লিখনের আজন্ম দুর্দশা ঘুচুক(৭টির) --৪র্থ




বাংলা লিখনের আজন্ম দুর্দশা ঘুচুক(৭টির) -৪র্থ 





লেখাটি অহনলিপি-বাংলা১৪(AhanLipi-Bangla14) ফন্টে পড়তে হবে, নচেৎ লেখাটির বক্তব্য স্পষ্ট হবে না৤ ফন্ট ডাউনলোড


অহনলিপি-বাংলা১৪(AhanLipi-Bangla14) ফন্ট প্যাকেজ ডাউনলোড লিংক:
https://sites.google.com/site/ahanlipi/font-download/AhanLipi-Bangla14.zip

অথবা লিংক পেতে দেখুন

         



সঙ্গে দেওয়া ফাইল দেখে নিতে হবে৤

অহনলিপি-বাংলা১৪ ডিফল্ট টেক্সট ফন্ট সেটিং
(AhanLipi-Bangla14 Default text font setting)
Default text font setting ডিফল্ট টেক্সট ফন্ট সেটিং

এবং



অহনলিপি-বাংলা১৪ ডিফল্ট ইন্টারনেট সেটিং
(AhanLipi-Bangla14 Default Internet setting)

(Default font setting ডিফল্ট ফন্ট সেটিং)

on internet(Mozilla Firefox)
(top left) Tools  
              Options--contents
              Fonts and Colors
              Default font:=AhanLipi-Bangla14
                        Advanced...
                                    Fonts for: =Bengali
                                    Proportional = Sans Serif,   Size=20
                                    Serif=AhanLipi-Bangla14
                                    Sans Serif=AhanLipi-Bangla14
                                    Monospace=AhanLipi-Bangla14,  Size=20
                                    -- OK
            Languages
            Choose your preferred Language for displaying pages
            Choose
            Languages in order of preference
            Bengali[bn]
            -- OK
 -- OK

          এবারে ইন্টারনেট খুললে ‘অহনলিপি-বাংলা১৪’ ফন্টে সকলকিছু দেখা যাবে৤ নেটে এই ফন্টে সব কিছু লেখাও যাবে৤







বাংলা লিখনের আজন্ম দুর্দশা ঘুচুক-৪
          মনোজকুমার দ. গিরিশ
          মণীশ পার্ক, কোলকাতা


চতুর্থ অংশ

          ১৯৮৫-তে উইন্ডোজ এলেও আমার কাছে সহজলভ্য ছিল না৤ তবু আমার কাজ থেমে ছিল না৤ তৈরি হল কয়েকটি নন-ইউনিকোড ফন্ট৤ কিন্তু তাতেও সমস্যা মিটল না৤ কারণ সে ব্যবস্থায় একজনের ফন্ট অন্যের কম্পিউটারে পড়া যায় না, পড়তে হলে দুজনের একই ফন্ট থাকতে হবে৤ ব্যাপারটা অবশ্য ফন্টের কোড সম্পর্কিত, যা পরে আন্তর্জাতিকভাবে গঠিত সংস্থা “ইউনিকোড কনসোর্টিয়াম”(১৯৯১) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, এবং তা পৃথিবীর সকল ভাষা ও সকল হরফের জন্য প্রযোজ্য৤ প্রথম দিকে বাংলায় “ৎ” লেখার ব্যবস্থা ছিল না, কারণ এর জন্য কোড বরাদ্দ ছিল না৤ পরে নানা উদ্যোগে  ‘ৎ’ কোডের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে(হেক্সা ডেসিম্যাল=U+09CE তথা ডেসিম্যাল=2510)৤

বাংলা ‘বই’ ফন্ট(নন-ইউনিকোড)-- 


কারণ কোন্‌টি যে কোন্‌ ন/ণ, সে ব্যাপারটি স্পষ্ট নয়৤ 




          পরে একটি সেমিনারে একজন কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ বি বি চৌধুরি B B Chowdhury 

‘ইউনিকোড ফন্ট’ তৈরি করতে  বললেন৤ খটকা লাগল৤ এটা প্রায় অপরিচিত শব্দ৤ গেলাম অন্য এক বিশেষজ্ঞের কাছে, জানতে চাইলাম ইউনিকোড ফন্ট তৈরি করব কিনা? যদিও ইউনিকোড ফন্ট সম্পর্কে আমার কোনও ধারণাই ছিল না৤ তিনি জানালেন দরকার নেই৤ যা আছে তাতেই চলবে৤ 

          একজন বিশেষজ্ঞ আমারই করা পরিকল্পনা অনুসারে যুক্তবর্ণের একটি ছক ছেপে আমাকে দিলেন, এবং বলেও দিলেন যে, এটা দেখতে খারাপ হয়েছে-- এসব চলবে না৤
          ফিরে এলেও সন্দেহ গেল না৤ 




          ‘চলবে না’ বলে তাঁরা হুঁশিয়ারি দিলেও এটা যে তাঁরা করতে পেরেছেন তা দেখে বরং আমি মনে মনে খুব খুশি৤ চলবে কিনা তা নিয়ে কোনও কথা বললাম না৤

[ জানিয়ে রাখি ৩১/০৩/২০১৪ তারিখে নেটে পেলাম একটি খবর, সে খবরে বলা হয়েছে --

বাংলাদেশের কাগজ (দৈনিক ইত্তেফাক, ঢাকা, শনিবার ২৯ মার্চ, ২০১৪)৤
সরকারি উদ্যোগে বাংলা ফন্ট৤
ইন্টারনেটে আর কম্পিউটারে যখন বাংলা অনেকটা জায়গা দখল করে নিতে সমর্থ হয়েছে, তখন দেরিতে হলেও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে একটি ইউনিকোড ফন্ট তৈরির।...পূর্ণাঙ্গ একটি ফন্ট তৈরি করতেই গত বছরের শেষের দিকে সরকার এই উদ্যোগ গ্রহণ করে। মূলত বাংলা একাডেমীর নেতৃত্বে এই ফন্ট তৈরির কাজ শুরু হয়। এর পেছনে আর্থিক সহায়তা প্রদান করছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)। আর এতে কারিগরি সহায়তা প্রদান করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাফিক্স ডিজাইন বিভাগ। ফন্ট তৈরি থেকে যাবতীয় কার্যক্রমের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক... এবং ফন্ট বিশেষজ্ঞ ... এই উদ্যোগে তৈরি ফন্টটি যাতে সুন্দর ও নান্দনিক হয়ে ওঠে, সে বিষয়টির দেখভাল করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাফিক্স ডিজাইন বিভাগের চেয়ারম্যান... এবং ওই বিভাগের আরেকজন শিক্ষক... সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে জানা গেছে, সরকারি উদ্যোগে তৈরি বাংলা ইউনিকোড এই ফন্টের নাম দেওয়া হয়েছেআমার বর্ণমালা’

          এই সংবাদটি নিয়েই বাংলাদেশের অন্য একটি তথ্যে দেখা যাচ্ছে--“তিনি পাণ্ডুলিপি দেখিয়ে বলেন, যেকোনো যুক্তাক্ষরের প্রথম অক্ষরটি ছোট এবং অপরটি তুলনামূলকভাবে একটু বড় হবে। ফলে শব্দ বিন্যাসে সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। প্রায় ছয় বছর ধরে এই অভিধানের কাজ চলছে।”--(নেটের সাইটের নাম--‘পিপীলিকা.কমpipilika, এখানে কোনও সাল তরিখ দেওয়া নেই)৤   


        অন্য আর একটি খবরে একই সংবাদ--
নতুন উদ্ভাবিত ব্যবহারিক প্রমিত বাংলা অভিধানের বিষয়ে জামিল চৌধুরী বলেন, বিশেষ করে যুক্তাক্ষরগুলো আমূল পাল্টে যাবে। নব উদ্ভাবিত অভিধানে প্রতিটি যুক্তাক্ষর আমরা স্পষ্ট দেখতে পাব। বর্তমানে অনেক যুক্তাক্ষর রয়েছে, যা কেবল অক্ষরটিই দেখে থাকি। তিনি পাণ্ডুলিপি দেখিয়ে বলেন, যেকোনো যুক্তাক্ষরের প্রথম অক্ষরটি ছোট এবং অপরটি তুলনামূলকভাবে একটু বড় হবে। ফলে শব্দ বিন্যাসে সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। প্রায় ছয় বছর ধরে এই অভিধানের কাজ চলছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশনপ্রকল্পের প্রায় ২ হাজার অভিধানের কাজ বাস্তবায়ন করছে বাংলা একাডেমী।(হলিউড বাংলা ব্লগ৤ হলিউড থেকে প্রকাশিত অনলাইন বাংলা পত্রিকা৤ February 24, 2013, 5:02 AM )

বাংলাদেশ সরকার যে 'আমার বর্ণমালা' ফন্ট তৈরি করেছে(এবিশাপলাবিটা ABShaplaBeta) সেই ফন্টে লেখা উদাহরণ দেখা যাক৤ প্রথমে অন্য চালু ফন্টে লেখা দেখা যাক--






          এর পরে লেখা যাক এবিশাপলা ফন্টে(বাংলাদেশের সরকারি ফন্টে)-- 






          আমার করা অহনলিপি-বাংলা১৪(AhanLipi-Bangla14) ফন্টে--

ধারক বাক্য(প্যানগ্রাম[Pangram="every letter"]):  কি-বোর্ড সড়গড় হবার জন্য, এবং নিবিড় অনুশীলনের জন্য  একটি বাক্য লিখে দেখানো হল, যেখানে বাংলা সকল স্বরবর্ণ(১১), সকল ব্যঞ্জন বর্ণ(৩৯), সকল স্বর চিহ্ন(১০), সকল ব্যঞ্জনচিহ্ন তথা ফলা(৮টি), সংখ্যা(১০), এবং টাকার চিহ্ন(৳) দেখানো আছে৤ 
০১.০১.২০১৪

বিষণ্ণ ঔদাসীন্যে ঊষাবৌদি বাংলাভাষায় প্রচলিত ঈশপের নিখুঁত গল্পটির ডালপালা অর্ধেক ছড়াতেই ঋতু ভুঁইঞা আর ঐন্দ্রিলা ধড়ফড়িয়ে দারুণ হৈ-হৈ করে উঠল__ ওঃ, ব্যাস্ এবার থামো তো, বুঝেছি বড্ডো পুরানো ঢঙের কেমন এক গল্প যার নীতিবাক্য হল,“মূঢ় আড়ম্বর ও আত্মশ্লাঘার ফল জীবনে বিঘ্ন ও বৃহৎ ক্ষতি”-- তাই না, এ্যাঁ? ০১২৩৪৫৬৭৮৯   ৳৫৬/-   ৉৫৬/-      

     

আমার করা অহনলিপি-বাংলা১৪ ফন্টে এবং বাংলাদেশের সরকারি ফন্ট এবিশাপলা ফন্টে
লেখার তুলনামূলক দু-একটি উদাহরণ দেখা যাক-- 
প্রথমে অহনলিপি-বাংলা১৪, পরে এবিশাপলা ফন্ট





          পরে গেলাম অন্য এক বিশেষজ্ঞের কাছে(বিশ্বরূপ ভৌমিক)  


তিনি বললেন ইউনিকোড ফন্টই বানাতে হবে৤ তাই লেগে গেলাম সে চেষ্টায়৤ দিন যায়, মাস যায় বছর যায় কিন্তু সাফল্য আর আসে না৤ দেখলাম ইউনিকোড ফন্ট তৈরি করা আগের নন-ইউনিকোড ফন্ট তৈরি করার চেয়ে অনেক বেশি জটিল৤ দুর্ভেদ্য এক দুর্গ৤ আমার অবস্থা হল, হেলে ধরতে পারেনা কেউটে ধরার শখ!

          বহুদিন পরে অবশেষে এলো সাফল্য৤ তৈরি হল বাংলা ইউনিকোড ফন্ট৤ 

 

 

         তার পরে, যে কিবোর্ডে কাজ করছিলাম তা পছন্দ হল না৤ কোন ‘কি’(Key)-তে বা কিটপ(Keytop)-এ  কোন্‌ হরফ আছে তা বুঝতে মুখস্ত রাখতে হয় অনেকটাই৤ তাই নিজের জন্য কিবোর্ড বানালাম৤ সেখান প্রথমবারে অঙ্কের হিসেবনিকেশ কষে কিবোর্ড বানানো হল৤ এজন্য বাংলা বর্ণ ব্যবহারের তুলনাংক (letter frequency) বের করতে হল৤ বাংলায় কোন্‌ বর্ণ কতবার ব্যবহৃত হয়-- কোন্‌ বর্ণ কম কম, কোন্‌ বর্ণ বেশিবার ব্যবহৃত হয় তার হদিশ পাওয়া গেল৤ দেখা গেল বাংলায় সবচেয়ে বে ব্যবহৃত বর্ণ হল ‘র’, ক্রম অনুসারে এই সকল বর্ণ এবং চিহ্ন হল--

 া র ে ি ন ক ব ত ল স প য য় ম দ  

 

     বিষয়টি নিয়ে একটি লেখা প্রাশিত হল সাহিত্য ও সংস্কৃতি পত্রিকায়(জানুঃ-মার্চ-১৯৭৬, বর্ষ ১১, ৪র্থ সংখ্যা)৤ 

      তার সঙ্গে হিসেব কষতে হল QWERTY কিবোর্ডের(ইংরেজি কিবোর্ড) কোন্‌ ‘কি’ কতবার ব্যবহার হয়, কোন্‌ ‘কি’ কত সুবিধাজনক অবস্থানে আছে, তা দেখা হল৤ দুটো মিলিয়ে, বাংলা লেটার ফ্রিকোয়েন্সি, এবং কিবোর্ডের কিটপ এ্যাকসেসিবিলিটি ফ্রিকোয়েন্সি মিলিয়ে, হিসেব কষে বাংলা কিবোর্ড বানানো হল৤ সেটা চলল কিছুদিন৤ 

 

          দেখলাম, ঠিক যা চাইছিলাম, তা হয়নি৤ তাই তা পালটে এমনভাবে কিবোর্ড তৈরি করা হল যে, খুব কম মনে রেখে, বা কম মুখস্থ করে কাজ করা যায়৤ এমনকি একেবারে নতুন হলেও কিছু কথা টাইপ করতে কোনও অসুবিধা হবে না, তার লজিকটি সেভাবেই গঠন করা হয়েছে৤ ইংরেজি কিবোর্ড সবার কাছেই থাকবে৤ তাই ইংরেজি কিবোর্ড অনুসরণ করে k=ক, g=গ, j=, t=, d=, n=, p=, f=, b=, v=, m=ম, r=, l=ইত্যাদি করে কিবোর্ড সাজানো হল৤ আর এই চাবিগুলির শিফট চেপে লিখলে এদের অনেকগুলিরই মহাপ্রাণ বর্ণ লেখা হবে-- খ,ঘ,ঝ,ঠ,ধ৤ এতে সুবিধে হল অনেকটাই৤

          বাংলা বর্ণ ব্যবহারের তুলনাংক(letter frequency) আশানুরূপ কাজে লাগল না৤ কিবোর্ড নতুন করে বানালাম৤ বাংলা বর্ণের যে-ব্যবহারিক তুলনাংক তৈরি করলাম তা এক অন্য বড় কাজে লেগে গেল৤ আমরা যখন বাংলা লিখি তখন বানানে বড় বিভ্রাট হয়৤ বিজিগীষা, সবিশেষ, রীতিনীতি, প্রিয়ভাষিণী-- ইত্যাদি লেখার সময়ে প্রতিপদে বানান ভুল হতে পারে৤ শুধু কঠিন শব্দ কেন সহজ শব্দেও কতই না ভুল হয়৤ মনে প্রশ্ন কি জাগে না, বাংলায় বানান ভুলের আশংকা কত? এমন প্রশ্ন হয়তো মনে জাগে, কিন্তু তার জবাব কী? জবাব হল, বাংলায় বানান ভুলের সাধারণ আশংকা হল ৩১.৭৬% শতাংশ৤ তার মানে তিনটে হরফ বা চিহ্ন লিখলে তার এটা ভুল হতে পারে! এত যদি ভুল হবার ভয়, তবে তা ঠিক করার কথাও ভাবতে হবে৤ পণ্ডিতেরা তা নিয়ে ভাবছেনও দীর্ঘকাল ধরে, কিন্তু তার নিট ফল প্রায় শূন্যই৤ 

       আমি একটি দিকে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করি৤ বাংলায় সবচেয়ে বেশি ভুল হয়-- ই/ঈ, ি/ী ঘিরে৤ কেবলমাত্র ই/ঈ, ি/ী সমস্যা সমাধানের উদ্যোগে-- বানান ভুল কমবে মোট ভুলের প্রায় চার ভাগের এক ভাগ, তথা ২৫%শতাংশ(২৫.৩২৭%)৤ অর্থাৎ লোকসান কাটিয়ে ২৫%শতাংশ প্রফিট! আমরা ই/ঈ, ি/ী বানান লিখি প্রায় অন্ধের মতো হাতড়ে হাতড়ে৤ কেন এমন করতে হয়? ভাষা পণ্ডিতেরা বলেন, ‘ঈ’ বাংলার কোনও মৌলিক স্বরধ্বনি নয়৤ আর ঈ বাংলার মৌলিক স্বরধ্বনি না হওয়ায় তার উচ্চারণ নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা কম, নইলে ি/ী জনিত ভুল এত হতে পারত না৤ ফলে কোথায় ‘কি’ লিখব আর কোথায় ‘কী’ লিখব, তা নিয়ে কালঘাম ছুটত না৤ ‘খবর’ আর ‘কবর’ শব্দ দুটিতে কোথায় ‘ক’ আর কোথায় ‘খ’ লিখব তা নিয়ে আমাদের একটুও ভাবতে হয় না৤ তার কারণ এদের ধ্বনি বা উচ্চারণ স্পষ্ট এবং আলাদা৤ [মেঘ করেছে=মেগ গরিছে, ধরনের আঞ্চলিক উচ্চারণ এই বিবেচনায় আসে না৤ সেটা আঞ্চলিকই, মান্য নয়]৤  ই/ঈ, ি/ী -এর ক্ষেত্রে এদের ধ্বনি বা উচ্চারণ স্পষ্ট নয়, আলাদা নয়৤ কৃত্রিমভাবে বানানে এদের আলাদা করলেও কাজের বেলায় তা আলাদা করতে পারি না৤ ফলে ভুল হয়, এবং হতেই থাকবে৤ শিক্ষিত বা অশিক্ষিত সাধারণ মানুষকে এটা কোনওভাবেই ধরানো যাবে না৤ বাংলা থেকে এই অমৌলিক স্বরবর্ণটি বাদ দিলে বাংলা বানানে প্রবল স্বস্তি নেমে আসবে৤ অবশ্য এইটুকুতেই বানান সবটা তো আর ঠিক হবে না, তবে যেটুকু হবে তাতে অনেক স্বস্তি পাওয়া যাবে৤ বাকিটুকু এই ভুলের-তালিকা ধরে ধরে ক্রমে ব্যবস্থা নিতে হবে৤ 
 


♥♥

==========

ঋণ:
বিভিন্ন আকর গ্রন্থ, সাধারণ গ্রন্থ, পত্র-পত্রিকা, ইন্টারনেটের ওয়েবসাইট ও ব্লগ থেকে নানাভাবে প্রভূত সহায়তা গ্রহণ করা হয়েছে৤ তাঁদের সকলের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই৤ 

মনোজকুমার দ. গিরিশ
মণীশ পার্ক, কোলকাতা, ভারত 





পরবর্তী ৫ম অংশ দেখুন:

http://banglainternational.blogspot.in/2015/03/blog-post_91.html






সংশোধন, সম্পাদন, সংযোজন চলছে
সর্বশেষ পরিমার্জন ২৬/০৫/২০১৬



লেবেলসমূহ:

0টি মন্তব্য:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এতে সদস্যতা মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন [Atom]

<< হোম