সোমবার, ৯ মার্চ, ২০১৫

বাংলা লিখনের আজন্ম দুর্দশা ঘুচুক --৫ম


বাংলা লিখনের আজন্ম দুর্দশা ঘুচুক(৭টির) --৫ম




বাংলা লিখনের আজন্ম দুর্দশা ঘুচুক(৭টির) -৫ম





 

লেখাটি অহনলিপি-বাংলা১৪(AhanLipi-Bangla14) ফন্টে পড়তে হবে, নচেৎ লেখাটির বক্তব্য স্পষ্ট হবে না৤ ফন্ট ডাউনলোড



অহনলিপি-বাংলা১৪(AhanLipi-Bangla14) ফন্ট প্যাকেজ ডাউনলোড লিংক:
https://sites.google.com/site/ahanlipi/font-download/AhanLipi-Bangla14.zip

অথবা লিংক পেতে দেখুন

 

  সঙ্গে দেওয়া ফাইল দেখে নিতে হবে৤

 অহনলিপি-বাংলা১৪ ডিফল্ট টেক্সট ফন্ট সেটিং
(AhanLipi-Bangla14 Default text font setting)
Default text font setting ডিফল্ট টেক্সট ফন্ট সেটিং

এবং


অহনলিপি-বাংলা১৪ ডিফল্ট ইন্টারনেট সেটিং
(AhanLipi-Bangla14 Default Internet setting)

(Default font setting ডিফল্ট ফন্ট সেটিং)

on internet(Mozilla Firefox)
(top left) Tools  
              Options--contents
              Fonts and Colors
              Default font:=AhanLipi-Bangla14
                        Advanced...
                                    Fonts for: =Bengali
                                    Proportional = Sans Serif,   Size=20
                                    Serif=AhanLipi-Bangla14
                                    Sans Serif=AhanLipi-Bangla14
                                    Monospace=AhanLipi-Bangla14,  Size=20
                                    -- OK
            Languages
            Choose your preferred Language for displaying pages
            Choose
            Languages in order of preference
            Bengali[bn]
            -- OK
 -- OK

          এবারে ইন্টারনেট খুললে ‘অহনলিপি-বাংলা১৪’ ফন্টে সকলকিছু দেখা যাবে৤ নেটে এই ফন্টে সব কিছু লেখাও যাবে৤

 

         
বাংলা লিখনের আজন্ম দুর্দশা ঘুচুক-৫ 
          মনোজকুমার দ. গিরিশ
          মণীশ পার্ক, কোলকাতা

 

পঞ্চম অংশ

 

          আমার করা ফন্টে কিবোর্ড কিছুমাত্র না জেনেই,  না শিখেই লেখা যাবে-- মা  বাবা  কাকা কাকি দিদি  পিসি  দিদা, ফুফা চাচা, ফাদার; সজল দাস,  কনক পাল,  মদন সাহা, জহর বল, পরিমল রায়,  মুনমুন সেন, নুরি মিয়া, জসিম সাহেব৤  

         এমনকি ‘ক’ জানলে আলাদা করে ‘খ’ জানার দরকার নেই, ‘গ’ জানলে ‘ঘ’ জানার দরকার নেই, ‘চ’ জানলে ‘ছ’ জানার দরকার নেই, ‘জ’ জানলে ‘ঝ’ জানার দরকার নেই৤ ক/গ/চ/জ ইত্যাদি বর্ণের উদ্দিষ্ট মহাপ্রাণ বর্ণসকল, এবং অন্য কিছু লজিক্যাল বর্ণ-- একটা বিশেষ নির্দিষ্ট “কি”(Key) চাপলে ঠিকঠাক তৈরি হয়ে যাবে৤ যেমন-- ক+Key=খ, গ+Key=ঘ, চ+Key=ছ, জ+Key=ঝ ইত্যাদি৤ এখানে Key মানে একটি নির্দিষ্ট কিটপ(Key top)৤ ফন্টের কার্যকারিতা পরীক্ষা করার জন্য, নানাভাবে খুঁটিয়ে দেখে নানা প্রশ্ন তোলাতে এসব দিকে চিন্তাভাবনা করতে হয়েছে৤ প্রশ্ন তোলায় অক্লান্ত-- মোসাবনির তাম্র খনির মেকানিক্যাল-ইঞ্জিনিয়ার(অবসরপ্রাপ্ত) শিবরঞ্জন মণ্ডল 









আর তরুণ কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ অবনশিখর মিত্র৤ 








          এই ফন্টের বিশেষ কি বৈশিষ্ট্য আছে যাতে তা উল্লেখ্য? সেটি হল-- বাংলা লেখার সময়ে  

--এই ভাবে লেখা হবে না৤ বরং লেখা হবে 
গু  রু   রূ   শু    হু  হৃ

স্বরচিহ্ন সংযোগের কালে লেখায় সাধারণ রীতির কোনও ব্যত্যয় ঘটানো হবে না৤ 

অবসরপ্রাপ্ত শিবরঞ্জন মণ্ডল বর্তমানে একটি স্কুলে শিক্ষকতা করছেন স্বেচ্ছা শ্রম দিয়ে, অন্যত্র একটি স্কুলেও শিক্ষকতা করেছেন৤ বর্তমান স্কুলে তিনি সেক্রেটারিও ছিলেন৤ শিক্ষক হিসেবে তিনি কত গভীর মনোযোগী তার উদাহরণ হল, তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, রূ এবং হৃ দুটি ক্ষেত্রেই একই চিহ্ন কেন ব্যবহার করা হয়? যেমন--



দীর্ঘ ঊ-কার(ূ) লিখতে যে চিহ্ন, ঋ-কার(ৃ) লিখতেও সেই একই চিহ্ন৤ একই হাতল ঘুরিয়েই কি সব কাজ সারা হবে?







-- একটা নাম, বাংলা বানানের এক বিধ্বস্ত প্রকাশ৤ ঋ-কার এবং ঊ-কার একই চেহারায়৤

সবচেয়ে বড় কথা হল-- যুক্তবর্ণ লেখার সময়ে কোনও বর্ণের ব্যত্যয়, বা বিকৃতি ঘটবে না৤  যুক্তবর্ণ লেখার সময়ে হরফ সব সময়ে স্পষ্ট, অখণ্ডিত পূর্ণাঙ্গ, এবং অবিকৃত থাকবে৤ একমাত্র ব্যতিক্রম হল-- ক্ষ, জ্ঞ৤ এদুটি(ক্ষ, জ্ঞ) এমনি করেই লেখা হবে৤ আর অন্য সর্বত্র ইংরেজির কায়দায় যোজ্যহরফসমূহ পাশাপাশি বসবে, কেবল যুক্তবর্ণের প্রথম বর্ণটি/বর্ণদুটি আয়তনে ছোটো হবে, পরেরটি বা শেষেরটি যথাযথ এবং পূর্ণাঙ্গ অবস্থায় পাশে বসবে৤ দুটি হরফই মাত্রার একইরেখায় পাশাপাশি ঘেঁষে বসবে, ইংরেজির মতো বাংলা লেখা লাইনের উপরে দাঁড়ানো হয় না৤ মাত্রা থেকে নিচে প্রসারিত থাকে বা লম্ববান, তথা ঝুলে থাকে৤ হরফকে ঝুলিয়ে রাখার ব্যবস্থা হল হরফের মাত্রা৤
          বাংলায় যুক্তবর্ণ লেখার দুটি সূত্র তৈরি করা হয়েছে, সেই দুটি সূত্র অনুসারেই সকল বাংলা যুক্তবর্ণ লেখা যাবে, এবং লেখা হবে৤ এজন্য অনেক বছরের চেষ্টায় বাংলা সকল যুক্তবর্ণের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে, তাতে বাংলায় অন্তত ৩৯৫টি যুক্তবর্ণ পাওয়া গেছে৤ আর প্রতিটি যুক্তবর্ণই লিখে পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে যে এই সূত্র অনুসারে তা সফলভাবে লেখা যাচ্ছে৤ সূত্র দুটি হল--(১)C1C2  (২)C1C1C2 

          এখানে C হল Consonant বা ব্যঞ্জনবর্ণ৤ ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে ব্যঞ্জনবর্ণ মিলিত হয়েই তো যুক্তবর্ণ হয়৤ এই মিলন দলা পাকানো হবে না৤ হরফগুলি বসবে পাশাপাশি এবং সব সময়ে স্পষ্ট, অখণ্ডিত পূর্ণাঙ্গ, এবং অবিকৃত অবস্থায়৤ প্রথম বর্ণটি(C1C2)/ বর্ণদুটি(C1C1C2) হবে কেবলমাত্র আয়তনে ছোটো আর পরেরটি তথা শেষেরটি হবে যথাযথ আয়তনের৤ 


          প্রাচীন দিনে মানুষ হরফের উপরে হরফ না চাপালে তাদের ধ্বনির সংযুক্তি বুঝতে পারত না৤ পরে মানুষের মেধার বিকাশ হওয়ায় তারা হরফ পাশাপাশি বসিয়েই হরফের ধ্বনি সংযুক্তি বুঝতে পেরেছে৤ বাংলায় এযুগেও কি তা পারা যাবে না? ইংরেজিতে তো অনায়াসে চলছে সেই রীতি, বাংলায় হতে বাধা কী?



          বিষয়টি নিয়ে “দেশ” সাপ্তাহিকে(তখন সাপ্তাহিক ছিল) নিবন্ধ লিখি৤ লেখার শিরোনাম ছিল “বাংলা যুক্তবর্ণের প্রকৃতি নির্ধারণ”, সে ১৯৮৭-র ঘটনা(০১/০৮/১৯৮৭)[৫৪ বর্ষ, ৪০ সংখ্যা]৤ 
(লিংক দেখুন: http://banglainternational.blogspot.in/2015/05/blog-post.html )



      তার কিছু আগে এশিয়াটিক সোসাইটির অল ইন্ডিয়া ওরিয়েন্টাল কনফারেন্স-এ (AIOC) [৩৩-তম সেশন ১৯৮৬ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন, সল্টলেক, কোলকাতা], সেমিনারে এই বিষয়টি নিয়ে একটি পেপার পড়ি৤ পেপারটি পণ্ডিতজনের ভূয়সী প্রশংসা পায়৤ সেটিই দেশ পত্রিকায় ছাপা হয়েছে৤ এশিয়াটিক সোসাইটির সেমিনার যে হবে, সে খবর এনে দেন আমার অফিসের পরম শুভার্থী বন্ধু সুভাষ ভট্টাচার্য, নয়তো তা আমি জানতেই পেতাম না৤


উদাহরণ দেখা যাক--

দুই বর্ণ
(১)C1C2 --অল্প, ছন্দ, উচ্চ    

তিন বর্ণ
(২)C1C1C2-- উজ্জ্বল, স্প্লিট  

          এই সূত্রায়িত পদ্ধতির ফলে নতুন রীতির বাংলা ইউনিকোড ফন্ট সফ্‌টওয়্যারের আয়তন অনেকটাই কমে গেছে৤ আয়তন দাঁড়িয়েছে মাত্র ৯০ কিলোবাইটের মধ্যে(৮৮কেবি), যা অন্য সাধারণ রীতিতে করা ফন্টের ক্ষেত্রে ৩৫০ থেকে ৭০০ কেবি৤ আর একটা মস্ত লাভ এই যে, ভবিষ্যতে যেকোনও নবাগত যুক্তবর্ণ লিখবার জন্য ফন্টসফ্‌ট সংশোধন করতে হবে না-- তেমনিই আশা৤ দুই, তিন, চার, বা পাঁচ বর্ণ ইচ্ছে করলেই সংযুক্ত করা যাবে৤ যেমন-- স্ত্ব্ন্ম, দ্গ্ভ্ব্ন্৤ অর্থাৎ এই সূত্রায়িত পদ্ধতির নতুন ফন্টে বাংলা লেখার সাবলীলতা, সুবিধা এবং স্বাধীনতা প্রায় অবাধ৤

          আমাদের আর ভ+ল=ভ্ল লিখতে নতুন হরফের এক বিচিত্র মণ্ড গঠন করতে হবে না৤ সাধারণ ফন্টে এটা দাঁড়িয়েছে--

 
ঝাড়ু লিখতে ড় আয়তনে ছোটো করে তার তলায় উ-কার দিতে হয় 

  এটা বেশ দৃষ্টিকটু৤ অন্য হরফের সঙ্গে বেশ অমিল চোখে পড়ে৤ 



          যেভাবে 
 

লেখা চলে/চলত, 


ঠিক তেমনিভাবে ড়ু =


 


লিখতে পারলে ভালো হত কি?৻ 



          বাংলা বর্ণ হল কমপ্লেক্স স্ক্রিপ্ট(Complex Script) --জটিল বর্ণব্যবস্থা৤ অর্থাৎ ইংরেজির মতো পর পর হরফ বসিয়ে লিখে গেলে হবে না৤ বিভিন্ন চিহ্ন হরফের ডাইনে, বামে, উপরে, নিচে জুড়তে হয়৤ ‘দিক’ মোটে চারটি বলে এর বেশি আর অন্য দিকে বসানো যায় না! স্বরচিহ্নাদি এই মাত্র(!) ক’টি দিকে বসানো হয়৤ বাংলা লিখতে গিয়ে  ী-কার হরফের পরে বা ডাইনে বসে, আবার ি-কার হরফের আগে বা বামে বসে৤ যদিও স্বরচিহ্নের উচ্চারণ কিন্তু দুটি ক্ষেত্রেই সহযোগী বর্ণের/হরফের পরেই হয়৤ 

বাংলা ইউনিকোড ফন্টে  
 া ি ী ু ূ ৃ ে ৈ ো ৌ ইত্যাদি স্বরচিহ্ন 

সব সময়ে মূল হরফের পরেই টাইপ করতে হয়৤ চিহ্নগুলি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঠিক ঠিক যায়গাতে গিয়ে বসে৤ 

ফলে লেখা হয়   
কা, কি, কী, কু কূ কৃ কে কৈ কো কৌ


এই জটিলতা তো আছেই, আবার এর সঙ্গে আছে যুক্তবর্ণের দলা বা মণ্ডহরফের এক বিচিত্র জটিল ব্যবস্থা৤ সে কারণেও বাংলা কমপ্লেক্স স্ক্রিপ্ট৤ 


       পৃথিবীতে এরকম কমপ্লেক্স স্ক্রিপ্ট আছে অনেক৤ যদি সেই সকল লিখন ব্যবস্থায় C1C2 রীতি গ্রহণ করা হয়/গ্রহণ করা যায়, তবে তাতে লেখা অনেক সহজ হয়ে যাবে বলে আশা করা যায়৤ এমনকী তা ইংরেজি লেখার রোমান হরফ ব্যবস্থার সঙ্গে অনেকটাই তুলনীয় হবে৤ 

        ভারতের বেশির ভাগ লিপির বিকাশ ঘটেছে ব্রাহ্মী লিপি থেকে তাই তাদের লিখন পদ্ধতি মোটামুটি বাংলার মতো একই, তাই আশা করা যায় সূত্রায়িত পদ্ধতি তথা C1C2 রীতি, ব্রাহ্মী থেকে বিবর্তিত এসকল লিপিব্যবস্থার সবার কাজে লাগবে৤ 

          বাংলায় দুই বর্ণের যুক্তবর্ণ আছে প্রায় ২১১টি, এবং তিন বর্ণের প্রায় ১৬৮টি৤ চার বর্ণের কি যুক্তবর্ণ বাংলায় নেই? আছে, চার বর্ণের যুক্তবর্ণ বাংলায় আছে ১৬টি৤ চার বর্ণের বেশি বর্ণ নিয়ে বাংলায় যুক্তবর্ণ হয় না৤ যুক্তবর্ণ লেখার সূত্র তো মোটে দুটি তাহলে চার বর্ণের যুক্তবর্ণ লেখার ব্যবস্থা কী হবে? চার বর্ণের মিলন কার্যত তিন বর্ণেরই হেরফের, তাই তার জন্য আলাদা কোনও সূত্রের প্রয়োজন নেই৤ চার বর্ণের উদাহরণ-- চন্দ্রাংশু, সৌক্ষ্ম্য৤ 

          বাংলা যুক্তবর্ণ সর্বমোট অন্তত (২১১+১৬৮+১৬=) ৩৯৫,  তিনশত পঁচানব্বই

          এতে বাংলা (১)লিখতে, তথা টাইপ করতে, (২)পড়তে, (৩)বুঝতে সহজ হবে৤ একটি ফন্ট এ প্রসঙ্গে দেখা যেতে পারে, ফন্টটি আমারই করা, যেখানে এই রীতি অনুসরণ করা হয়েছে এবং তা অল্প বাংলা লেখাপড়া জানা মানুষদের, এমনকি অবাঙালি, এবং অভারতীয়দের পক্ষেও খুব সুবিধাজনক হবে৤ স্কুলের নিচু ক্লাসের পরীক্ষায় এই ফন্টে ছেপে একাধিক স্কুলে প্রশ্নপত্র তৈরি হয়েছে, এবং শিক্ষার্থীরা খুব খুশি মনে তা গ্রহণ করেছে৤ 

        আপডেট করা ফন্টটি পাবার লিংক:

       
       হাতে লেখার জন্য এই মুহূর্তে এই ফন্ট কম-বয়সীদের কাজে লাগবে, বয়স্করা বেকায়দায় পড়বেন, কারণ তাঁদের এরকম অভ্যেস হয়নি৤ 



       আমি পণ্ডিত লোক নই, এবং বিদ্যে বুদ্ধি কম৤ এটি একটি সাধারণ পরামর্শ মাত্র৤


          একটা জিনিস বলি, আমার ‘বাংলা নতুন-বানান’ প্রকল্পকে মনে রেখে, কিছু ফন্ট তৈরি করা হয়েছে, সেটা আমারই এক ‘ক্রেজ’(craze)[পাগলামি, বাতিক]৤ তাই সেই বিশেষ কয়টি ফন্টে বাংলায় প্রচলিত সকল হরফ পাওয়া যাবে না৤ আর সাধারণ ব্যবহারের জন্য যে ফন্ট তৈরি করা হয়েছে (অহনলিপি-বাংলা১৪ AhanLipi-Bangla14.ttf, এবং নীরবিন্দু-বাংলা১৪ NiraBindu-Bangla14.ttf) তা সকল কাজেই ব্যবহার করা যাবে৤ এমনকি তা ‘বাংলা নতুন-বানান’ লিখতেও কাজে লাগবে, যদি তেমনভাবে কেউ তা কাজে লাগাতে চান৤

          ‘অহনলিপি-বাংলা১৪’(AhanLipi-Bangla14.ttf) ফন্টটি হল সেকেন্ড জেনারেশন ফন্ট, বা দ্বিতীয় প্রজন্মের ফন্ট৤ 

       ‘নীরবিন্দু-বাংলা১৪’ ফন্টও হল দ্বিতীয় প্রজন্মের ফন্টই কিন্তু আরও খানিকটা অগ্রগত৤ এখানে বাংলা হরফের ই ঈ উ ঊ ঐ ঔ, ট ঠ বর্ণগুলির এবং ি ী ু ূ ৃ ৈ ৌ চিহ্নগুলির যে বাহুটি বা অংশটি মাত্রার উপরে, বা মূল হরফের নিচে সাধারণত প্রসারিত হয়, এই ফন্টে তা এভাবে মাত্রার উপরে বা হরফের নিচে প্রসারিত হবে না, মাত্রার বা হরফের সমতলেই তা গঠিত, এতে হরফের এক্স-হাইট(x-height) বাড়বে, কারণ মাত্রার উপরে উত্থিত বাহুর এই রেখাংশ, এবং নিচে প্রসারিত স্বরচিহ্নাদির জন্য-- উপরে এবং নিচেও আর মুদ্রণ-স্থান রাখতে হবে না, ফলে হরফ বড় হবে৤ যেমন ধরি এই কবিতাটি-- 
আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে
কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে?
মুখে হাসি, বুকে বল তেজে ভরা মন
“মানুষ হইতে হবে”-- এই তার পণ
(--কুসুমকুমারী দাশ৤ কবি জীবনানন্দ দাশের মা)









          আর “আলয়-ফন্টগ্রুপের ফন্টগুলি হল থার্ড জেনারেশন ফন্ট বা তৃতীয় প্রজন্মের ফন্ট৤ 

নতুন ধরনের বাংলা হরফে করা কিছু ইউনিকোড ফন্ট -- 





          নতুন ধরনের এই ফন্টে কেবলমাত্র ‘বাংলা নতুন-বানান’ই লেখা যাবে৤ সেই উদ্দেশ্যেই এগুলি তৈরি করা৤ নতুন ধরনের এই ফন্টের আর একটি বিশেষ সুবিধা এই যে, এতে ছাপার জায়গা প্রায় ৪০% চল্লিশ শতাংশ কম লাগবে৤ তাই কাগজ কম লাগবে, ফলে বইয়ের দাম কমবে৤ যদিও কিন্তু হরফের আয়তন অনেকটা বড় হবে, ফলে লেখার পাঠযোগ্যতা(legibility) বাড়বে, কারণ এখানে এক্স-হাইটের
(x-height) সমস্যা কিছু নেই৤ ইংরেজির মতো বাংলাও লেখা হবে লিনিয়ার(linear) তথা একরৈখিক বা মনোটিয়ার (monotier) একতলিক করে, যা বাংলা মুদ্রণের প্রকৃত রাহুমুক্তি ঘটাবে৤ আর ফন্টের এক্স-হাইট বেশি মানে হরফ বড় হবে, ফলে আরও ছোটো হরফে ছেপে সে লেখাও পড়া যাবে, ছোটো হরফে ছাপাও যাবে, ফলে জায়গা আরও কম লাগবে, বইয়ের দাম আরও কমবে৤

কিছু উদাহরণ দেখা যাক--





আরও একটি উদাহরণ-- 




বাংলা ধারক বাক্য




       স্থানসংকোচন নীরবিন্দু ফন্টেও হবে, এবং তা প্রচলিত বানানেই --









          বাংলা ফন্টের চূড়ান্ত রূপ হবে ফোর্থ জেনারেশন ফন্ট বা চতুর্থ প্রজন্মের ফন্ট৤ তখন বাংলা লেখা হবে ইংরেজির মতো করে হরফগুলি কেবলমাত্র পাশাপাশি বসিয়ে৤ তখন স্বরচিহ্ন বা ফলা চিহ্ন বলে কিছু থাকবে না৤ তার অল্প একটু উদাহরণ দেখা যাক-- 








               এটি পড়তে গেলে অনেকটা টেপরেকর্ডারে বা ভিসিআর-এ স্পিড স্লো হয়ে গিয়ে যেভাবে শোনা যায়, যেন ঠিক তেমনি মনে হবে!


          এসব অবশ্য এখুনি বোঝা যাবে না, ভালোভাবে চর্চা না করলে এসব অবান্তর মনে হবে৤ আসল কথাটি হল আমাদের মাতৃভাষা বাংলাকে একটু যুক্তির আলোতে দেখতে হবে, যা চলছে সেই দাগের উপরে কলম বুলিয়ে গেলে চলবে না৤ অন্যেরা এমন করে লিখলে আমরা কি তা সঠিক লেখা বলে মনে করতাম? ইংরেজির মাত্র দু-একটি দলাপাকানো হরফ দেখেই (æ, œ, Æ, Œ, http://3.bp.blogspot.com/-h8RMSmFn8n0/VXJ-_v77xKI/AAAAAAAAHc4/FcwKqMqMiMo/s1600/%25E0%25A6%258F%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25A8%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25A1%2B%25E0%25A6%259A%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25B9%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25A8-%25E0%25A7%25A8.jpg) আমাদের বিরক্তি লাগে, আর আমাদের তো সবটাই দলা!  তবু তাদের এই সামান্যটি নিয়েই আমরা উদাহরণ দেখাই যে, ইংরেজিতেও তো এমন আছে, যেন আমাদের থাকাটা দোষের ব্যাপার নয়! যেন ইংরেজি সিন্ধুতে কৃষ্ণবিন্দু থাকাটাই আমাদের সকল দোষ মকুব করে দেয়৻ এসব অজুহাত কতকাল আর চলবে? এতে নিজেদের অকর্মণ্যতা অযোগ্যতা কিছুমাত্র ঢাকা পড়ে না৤ মাঝখান থেকে অজুহাতের শতহাত লোকের চোখে হাস্যকর হয়ে ওঠে৤ 
        এবার একটু নড়ে বসতে হবে যে৻ 





♥♥
==========
ঋণ:
বিভিন্ন আকর গ্রন্থ, সাধারণ গ্রন্থ, পত্র-পত্রিকা, ইন্টারনেটের ওয়েবসাইট ও ব্লগ থেকে নানাভাবে প্রভূত সহায়তা গ্রহণ করা হয়েছে৤ তাঁদের সকলের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই৤ 


মনোজকুমার দ. গিরিশ
মণীশ পার্ক, কোলকাতা, ভারত




পরবর্তী ৬ষ্ঠ অংশ দেখুন: 

http://banglainternational.blogspot.in/2015/03/blog-post_1.html




সংশোধন, সম্পাদন, সংযোজন চলছে
সর্বশেষ পরিমার্জন ২৭/০৫/২০১৬






লেবেলসমূহ:

0টি মন্তব্য:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এতে সদস্যতা মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন [Atom]

<< হোম