সোমবার, ৯ মার্চ, ২০১৫

বাংলা লিখনের আজন্ম দুর্দশা ঘুচুক --৬ষ্ঠ



বাংলা লিখনের আজন্ম দুর্দশা ঘুচুক(৭টির) --৬ষ্ঠ


বাংলা লিখনের আজন্ম দুর্দশা ঘুচুক(৭টির) -৬ষ্ঠ

লেখাটি অহনলিপি-বাংলা১৪(AhanLipi-Bangla14) ফন্টে পড়তে হবে, নচেৎ লেখাটির বক্তব্য স্পষ্ট হবে না৤ ফন্ট ডাউনলোড

অহনলিপি-বাংলা১৪(AhanLipi-Bangla14) ফন্ট প্যাকেজ ডাউনলোড লিংক:
https://sites.google.com/site/ahanlipi/font-download/AhanLipi-Bangla14.zip

অথবা লিংক পেতে দেখুন




সঙ্গে দেওয়া ফাইল দেখে নিতে হবে৤

অহনলিপি-বাংলা১৪ ডিফল্ট টেক্সট ফন্ট সেটিং
(AhanLipi-Bangla14 Default text font setting)
Default text font setting ডিফল্ট টেক্সট ফন্ট সেটিং

এবং



অহনলিপি-বাংলা১৪ ডিফল্ট ইন্টারনেট সেটিং
(AhanLipi-Bangla14 Default Internet setting)

(Default font setting ডিফল্ট ফন্ট সেটিং)

on internet(Mozilla Firefox)
(top left) Tools  
              Options--contents
              Fonts and Colors
              Default font:=AhanLipi-Bangla14
                        Advanced...
                                    Fonts for: =Bengali
                                    Proportional = Sans Serif,   Size=20
                                    Serif=AhanLipi-Bangla14
                                    Sans Serif=AhanLipi-Bangla14
                                    Monospace=AhanLipi-Bangla14,  Size=20
                                    -- OK
            Languages
            Choose your preferred Language for displaying pages
            Choose
            Languages in order of preference
            Bengali[bn]
            -- OK
 -- OK

          এবারে ইন্টারনেট খুললে ‘অহনলিপি-বাংলা১৪’ ফন্টে সকলকিছু দেখা যাবে৤ নেটে এই ফন্টে সব কিছু লেখাও যাবে৤



বাংলা লিখনের আজন্ম দুর্দশা ঘুচুক-৬
          মনোজকুমার দ. গিরিশ
          মণীশ পার্ক, কোলকাতা

ষষ্ঠ অংশ


বাংলা পুরানো ফন্টের যুক্তবর্ণ/যুক্তহরফ/যুক্তলিপি/মণ্ডহরফ/লিপ্তলিপি/বর্ণলিপ্তি এরকম ছিল__

যুক্তবর্ণ সংগঠন--

কৢ
কৢ যুক্তবর্ণ এখন আর ব্যবহার হয় না
ক্ত
প্রায় বর্তমান চালু রীতিতে লেখা
ক্ন
ক এবং ন পাশাপাশি বসানো, ক ছোটো মাপের
ক্ন
ক এবং ন উপরে-নিচে বসানো(এখানে দেখানো হয়নি)
ক্ম=
ক এবং ম পাশাপাশি, ক ছোটো
ক্ম
ক এবং ম উপরে-নিচে বসানো
 ক্র
 ক্র এবং  
 এরকম দুটি রূপই দেখা যায়  
ক্ল
ক এবং ল উপরে-নিচে বসানো
ক্ব
ক এবং ব উপরে-নিচে বসানো
ক্ষ্ম
ক্ষ এবং ম পাশাপাশি বসানো, ক্ষ ছোটো মাপের
ক্স
ক এবং স উপরে-নিচে বসানো


গু/ 
দুটি রূপই ব্যবহারে আছে 
গ্গ
গ এবং গ পাশাপাশি বসানো৤ প্রথম গ-টি ছোটো
গ্ন
গ এবং ন উপরে-নিচে বসানো
গ্ন
গ এবং ন পাশাপাশি বসানো৤ গ ছোটো
গ্ম
গ এবং ম উপরে-নিচে বসানো


ঙ্ক
ঙ এবং ক উপরে-নিচে বসানো, এবং বর্তমান চালু রীতিতে লেখা
ঙ্ক্য
ঙ এবং ক উপরে-নিচে বসানো, এবং বর্তমান চালু রীতিতে লেখা
ঙ্ক্ষ
ঙ এবং ক্ষ উপরে-নিচে বসানো
ঙ্খ
ঙ এবং খ উপরে-নিচে বসানো
ঙ্গ
ঙ এবং গ উপরে-নিচে বসানো   
ঙ্ঘ
ঙ এবং ঘ পাশাপাশি বসানো, ঙ ছোটো মাপের
ঙ্ঘ
ঙ এবং ঘ উপরে-নিচে বসানো
ঙ্ঙ
ঙ এবং ঙ উপরে-নিচে বসানো
ঙ্ত্র
ঙ এবং —এ উপরে-নিচে বাসনো
ঙ্ব
ঙ এবং ব পাশাপাশি, ঙ ছোটো
ঙ্‍য
ঙ এবং য উপরে-নিচে বসানো
ঙ্ল
ঙ এবং ল পাশাপাশি, ঙ ছোটো
ঙ্ল
ঙ এবং ল উপরে-নিচে বসানো
ঙ্ব
ঙ এবং ব(অন্তঃস্থ ব) উপরে-নিচে বসানো
ঙ্শ
ঙ এবং শ উপরে-নিচে বসানো
ঙ্ষ
ঙ এবং ষ উপরে-নিচে বসানো
ঙ্স
ঙ এবং স উপরে-নিচে বসানো
ঙ্হ
ঙ এবং হ পাশাপাশি, ঙ ছোটো
ঙ্হ
ঙ এবং হ উপরে-নিচে বসানো
র্চ্চ
চ এবং চ পাশাপাশি বসানো৤ প্রথম চ-টি ছোটো


জ্জ
জ এবং জ উপরে-নিচে বসানো৤ সঙ্গে তলায় ু যুক্ত করা চলত৤
জ্জ
তবে জ-এর তলায় জ যেন উলটানো v-এর মতো
জ্‍ঞ
জ এবং ঞ উপরে-নিচে বসানো
জ্ঞ(জ+ঞ)
জ্ঞ ভিন্নরকম প্রায়

আকৃতির একটি হরফ গঠন
জ্য
জ এবং ‌‍্য মিলে যেভাবে টাইপ গঠিত হয়েছিল তা বোঝা যায় না
জ্ব
জ এবং ব পাশাপাশি, জ ছোটো



ঞ্চ
ঞ এবং চ উপরে-নিচে৤ দু-রকম রূপ, একটি স্পষ্ট

 এবং  অপরটি অস্পষ্ট 
  ন্চ এবং ঞ্চ দুটোই ব্যবহৃত৤ 
ঞ্ছ
ঞ এবং ছ উপরে-নিচে বসানো
ঞ্জ
ঞ এবং জ পাশাপাশি, ঞ ছোটো
ঞ্জ
ঞ এবং জ উপরে-নিচে বসানো
ঞ্জ
ঞ এবং জ উপরে-নিচে, তবে ঞ-এর তলায় জ যেন উলটানো v-এর মতো
ঞ্ঝ
ঞ এবং ঝ উপরে-নিচে বসানো
ঞ্ঞ
ঞ এবং ঞ উপরে-নিচে বসানো
ট্ট
ট এবং ট পাশাপাশি বসানো, প্রথম ট ছোটো মাপের
ট্শ
ট এবং শ পাশাপাশি, ট ছোটো
ট্শ
ট এবং শ উপরে-নিচে বসানো
ট্ষ
ট এবং ষ পাশাপাশি, ট ছোটো
ট্ষ
ট এবং ষ উপরে-নিচে বসানো
ট্স
ট এবং স উপরে-নিচে বসানো
ট্হ
ট এবং হ পাশাপাশি, ট ছোটো
ট্হ
ট এবং হ উপরে-নিচে বসানো
ট্ক্ষ
ট এবং ক্ষ পাশাপাশি, ট ছোটো
ট্ক্ষ
ট এবং ক্ষ উপরে-নিচে বসানো






বর্ণটি বোঝা কঠিন ছিল, যেন একটি রেখার মাথায় বাঁদিকে ঢেউ খেলানো, অথবা কোথাও ছিল = =
ণ্ট
ণ এবং ট উপরে-নিচে, ণ=
ণ্ঠ
ণ এবং ঠ উপরে-নিচে, ণ=

    ঠ বোঝা যায় না
ণ্ড
ণ এবং ড উপরে-নিচে, ণ=
ণ্ডূ
বিকৃতভাবে ণ্ড গঠিত, তার সঙ্গেচিহ্ন আরও বিকৃতভাবে যুক্ত ছিল
ণ্ঢ
ণ এবং ঢ উপরে-নিচে, ণ=

ণ্ণ
ণ এবং ণ উপরে-নিচে, এযুগে দেখে মনে হবে--ল্ল
ত্ত
ত এবং ত মিলে দুটি জিনিস বোঝনো হত, ‘ত্ত’ এবং ‘তু’
ত্ত
বর্তমান চালু রীতিতে লেখা(—ও), এবং অস্পষ্ট এক অদ্ভুত উপায়ে লেখা
ত্থ
ত এবং থ পাশাপাশি বসানো, ত ছোটো মাপের
ত্ম
ত এবং ম পাশাপাশি বসানো, ত ছোটো মাপের
ত্ত্র
এই যুক্ত সমাবেশের আকৃতি ছিল অনেকটা যেন 
 ‘এ’-র মাথায় বাম দিকে ঢেউ খেলানো
(প্রসঙ্গত এ যুগে ডঃ পবিত্র সরকার এই চিহ্নটিকে ‘এ্যা’-এর বর্ণ হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছেন৤ যোগেশচন্দ্র রায় বিদ্যানিধি অনেক আগেই চেয়েছেন- এা )
ত্য
অতি বিকৃতভাবে গঠিত, বোঝ যায় না
ত্র
ত্র এবং —এ  দুটি রূপই দেখা যায়
ত্রী
 —এী বর্তমান চালু রীতিতে লেখা  


দ্গ
দ এবং গ উপরে-নিচে বসানো
দ্ঘ
দ এবং ঘ উপরে-নিচে বাস বসানো
 —এ
এমনি ধরনের গঠন দেখা যায়
দ্ধ
দ এবং ধ উপরে-নিচে বসানো, বর্তমান চালু রীতিতে লেখা
দ্ব
এটি আসলে ‘দু’ দেখতে প্রায় দ্ব 
দ্ব
দ এবং ব উপরে-নিচে বসানো
দ্ভ
দ এবং ভ পাশাপাশি বসানো, দ ছোটো মাপের
দ্ভ
দ এবং ভ উপরে-নিচে বসানো
দ্ম
দ এবং ম পাশাপাশি বসানো, দ ছোটো মাপের
ধ্ব
ধ এবং ব পাশাপাশি, ধ ছোটো
ন্চ
ন এবং চ পাশাপাশি বসানো, ন ছোটো মাপের৤ ন্চ এবং ঞ্চ দুটোই ব্যবহৃত
ন্ত
ন এবং ত উপরে-নিচে বসানো
ন্তু
ন এবং তার নিচে      ধরনের চিহ্ন ব্যবহার করে ন্তু বোঝানো হয়েছে
ন্থ
ন এবং থ উপরে-নিচে বসানো
ন্দ
ন এবং দ উপরে-নিচে বসানো
ন্দ্র
ন এবং দ পাশাপাশি৤ ন ছোটো
ন্ধ
ন এবং ধ উপরে-নিচে বসানো৤ ন এবং ধ -এর সংযোগ অনেকটা বর্তমানে চালু এর মতো দেখতে৤
র্ন্ন
ন এবং ন পাশাপাশি বসানো৤ প্রথম ন-টি ছোটো
ন্ন
ন এবং ন উপরে-নিচে বসানো
ন্ম
ন এবং ম পাশাপাশি৤ ন ছোটো
ন্শ
ন এবং শ পাশাপাশি বসানো, ন ছোটো মাপের
ন্স
ন এবং স পাশাপাশি বসানো, ন ছোটো মাপের
প্ত
প এবং ত উপরে-নিচে বসানো


ব্জ
ব এবং জ উপরে-নিচে বসানো
ব্ঝ
ব এবং ঝ উপরে-নিচে বসানো
ব্ড
ব এবং ড উপরে-নিচে বসানো
ব্ঢ
ব এবং ঢ উপরে-নিচে বসানো
ব্দ
ব এবং দ উপরে-নিচে বসানো
র্ব্ব
ব এবং ব পাশাপাশি বসানো৤ প্রথম ব-টি ছোটো
ব্ধ
ব এবং ধ উপরে-নিচে বসানো
ভ্র
ঠিক এরকম রীতির হরফগঠন দেখা গেছে


ভ্র=
র-ফলা(‍্র) নিজেই একটি বিকৃতি, সেটি ভ-এর সঙ্গে যোগ করে আবারও বিকার ঘটানো হয়েছে, বিকৃতি দুবার ঘটেছে৤এতে ভাষার অগ্রগমন ব্যাহত হয় 
ভ্ল
ভ্ল= আধুনিক যুক্তবর্ণ৤ এটি আগে ছিল না(ভ্লাদিমি)
ম্প
ম এবং প পাশাপাশি বসানো, ম ছোটো মাপের
ম্প
ম এবং প উপরে-নিচে বসানো
ম্ফ
ম এবং ফ পাশাপাশি বসানো, ম ছোটো মাপের
ম্ফ
ম এবং ফ উপরে-নিচে বসানো
ম্ব
ম এবং ব পাশাপাশি বসানো, ম ছোটো মাপের
ম্ব
ম এবং ব উপরে-নিচে বসানো
ম্ভ
ম এবং ভ উপরে-নিচে বসানো
ম্ভ্র
ম এবং ভ উপরে-নিচে, ‍্র তার নিচে,মোট তিনটি স্তরে উপরে-নিচে বসানো
ম্ম
ম এবং ম পাশাপাশি বসানো, প্রথম ম ছোটো মাপের
ম্ম
ম এবং ম উপরে-নিচে বসানো
র্ম্ম
ম এবং ম পাশাপাশি বসানো, প্রথম ম ছোটো মাপের 
ম্ল
ম এবং ল পাশাপাশি বসানো, ম ছোটো মাপের
য=য়
গিযাছিলাম=গিয়াছিলাম৤ যদি মুদ্রণ প্রমাদ না ঘটে থাকে
 ‍্য
য-ফলা হরফের সঙ্গে গায়ে গায়ে না জড়িয়ে পাশে আলাদাও বসানো হত
আহার
‘র’-এর এই হরফরূপটি ব্যবহারে আছে, প্রদর্শিত বর্ণমালায় নেই৤

 বর্ণমালায় আছে ৰ 
রূ
র-এর রূপ ছিল , তাই রূ লেখা হত -এর সামনে নিম্নমুখী হাতল ব্যবহার করে ৤ এমনকি রু বোঝাতে ‘’-এ উপরমুখী হাতল ব্যবহারও দেখা যায়, চালু র-এর মতো তলায় বিন্দুও নেই৤ র/ৰ দুটি রূপই দেখা যায়, এবং =র, বিতাম=করিতাম যদি মুদ্রণ প্রমাদ না ঘটে থাকে
ৰূ
ৰূ এবং  -এর সামনে নিম্নমুখী হাতল দেখা যায়
র্ত্ত
বর্তমান চালু রীতিতে লেখা (—র্ও)
র্দ্ধ
বর্তমান চালু রীতিতে লেখা
ল্প
ল এবং প উপরে-নিচে বসানো
ল্ল
ল এবং ল উপরে-নিচে বসানো
শু
শু হিসেবেই মুদ্রিত, ব্যতিক্রমীরূপে নয় 
শ্চ
শ এবং চ উপরে-নিচে বসানো
শ্ছ
শ এবং ছ উপরে-নিচে বসানো
শ্ল
শ এবং ল উপরে-নিচে বসানো
শ্ব
শ এবং ব উপরে-নিচে বসানো
শ্রী
বর্তমান চালু রীতিতে লেখা৤ অনেকটা লাইনো টাইপের ধরনে ছাপা
ষ্ক
ষ এবং ক উপরে-নিচে বসানো৤ বর্তমান চালু রীতিতে লেখা
ষ্ট
ষ এবং ট উপরে-নিচে বসানো
ষ্ঠ
ষ এবং ঠ উপরে-নিচে বসানো
ষ্ণ
 বর্তমানের মতো (ষ৏ ) গঠন ছিল, অথবা ছিল 
ষ্ণ
ষ এবং ণ উপরে-নিচে বসানো; অথবা ন, দুটোর একটি
ষ্প
ষ এবং প উপরে-নিচে বসানো
ষ্ফ
ষ এবং ফ উপরে-নিচে, গঠনটি দেখতে উপরে-নিচে বসানো ষ্থ-এর মতো
স্ক
স এবং ক উপরে-নিচে বসানো

এমনি জটিল গঠন দেখা যায়
স্খ
স এবং খ পাশাপাশি, স ছোটো
স্খ
স এবং খ উপরে-নিচে বসানো
স্থ
স এবং থ পাশাপাশি বসানো, স ছোটো
স্থ
স এবং থ উপরে-নিচে বসানো
স্ত
স এবং ত পাশাপাশি বসানো, স ছোটো
স্ত
স এবং ত উপরে-নিচে বসানো
স্ত্র
বর্তমান চালু রীতিতে লেখা
স্থ
স এবং থ পাশাপাশি বসানো, স ছোটো 
স্থ
স এবং থ উপরে-নিচে বসানো
স্ম
স এবং ম পাশাপাশি বসানো, স ছোটো 
স্ম
স এবং ম উপরে-নিচে বসানো
স্পৃ
স এবং প পাশাপাশি বসানো, স ছোটো
স্ব
বর্তমান চালু রীতিতে লেখা
স্স
স এবং স পাশাপাশি, প্রথম স ছোটো

/হু
দুই প্রকারেই দেখা যায়
হৃ
হ-এর সঙ্গে একটি নিম্নমুখী হাতল ছিল
হ্ণ
হ এবং ণ উপরে-নিচে, 
 =
হ্ন
হ এবং ন উপরে-নিচে বসানো
হ্ব
হ এবং ব উপরে-নিচে বসানো
হ্ম
হ এবং ম উপরে-নিচে বসানো
হ্ম
বর্তমান চালু রীতিতে লেখা
হ্য
হ এবং য-ফলা মিলিত হয়ে বর্তমান আধুনিক রূপেই গঠিত

এই হরফরূপটি ব্যবহারে আছে, প্রদর্শিত বর্ণমালায় নেই, পৃঃ১১৤ চড়িয়া,পৃঃ৩২


হ্যালহেডের বইখানিতে প্রদর্শিত বর্ণমালা কিংবা ব্যবহারে নেই

এই হরফরূপটি ব্যবহারে আছে, প্রদর্শিত বর্ণমালায় নেই, পৃঃ১৩,৩০,৩১, পৃঃ৩২

 এই হরফরূপটি ব্যবহারে আছে, প্রদর্শিত বর্ণমালায় নেই,পৃঃ৩৪,৫৩, 
 এবং অন্য একটি রূপ ২=ৎ পৃঃ৪০

অ৹ হিসেবে বর্ণমালায় আছে৤ উদাহরণ ব৹শী(=বংশী), পৃঃ২৮

অঃ হিসেবে বর্ণমালায় আছে৤ উদাহরণ নরঃ,যাবঃ, পৃঃ২৮,২৯
চাঁ
চন্দ্রবিন্দু(ঁ)/ব্যবহারে আছে প্রদর্শিত বর্ণমালায় নেই৤  
 লিখিলাওঁ, পৃঃ৩১,পৃঃ৩৫,৭১

৩৯টি ব্যঞ্জনবর্ণ৤ 
কিন্তু অং,আঃ, ইং, র্ঋ --এখানে স্বরচিহ্ন/স্বরবর্ণ রূপেই অক্ষত রয়েছে৤


হ্যালহেডের বইখানিতে বাংলা বর্ণমালাকে Bengali Alphabet বলা হয়নি,
বলা হয়েছে Bengal Alphabet(পৃঃ ৬)৤ 

         পুরানো এসব ছাপার কিছু কিছু বর্ণ বা যুক্তবর্ণ ঠিকভাবে বোঝা যাচ্ছে না৤ কারণ তখনকার হরফ গঠন বেশ আলাদা ছিল৤ টাইপেও ঠিক সেই গঠনকে অনুসরণ করা হয়েছে, A Grammar of the Bengal Language by Nathaniel Brassey Halhed, ১৭৭৮ বইখানিতে৤ এই প্রাচীন হরফ-টাইপের মধ্যে অনেক সম্পদ লুকিয়ে আছে৤ বাংলা হরফ-টাইপ গঠনের গতি প্রকৃতিকে বোঝার পক্ষে যা সহায়ক হবে৤

          একই গঠন দুই ক্ষেত্রে দুই অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে-- প্রায়   (ঞ-এর পুঁটুলি)ধরনের চিহ্ন দিয়ে ‘ত-ফলা’ এবং উ-কার, এই দুটি বিষয় বোঝানো হয়েছে৤ এখনও যেমন ঊ-কার(ূ) এবং ঋ-কার(ৃ) হিসেবে একই চিহ্ন ব্যবহার করা হয়৤ 

এই নামটিতে তা স্পষ্ট হয়েছে৤

          

তখনকার দিনে হাতের লেখাকে অনুসরণ করে বাংলা টাইপ তৈরি করা হয়েছে৤ যাঁদের হাতের লেখাকে বিভিন্ন সময়ে অনুসরণ করে বাংলা টাইপ তৈরি করা হয়েছে তাঁরা হলেন: (১)কালীকুমার রায়, (২)হরমোহন দত্ত, (৩)খুশমৎ মুনশি৤ 
          অনুস্বর/অনুস্বার লেখা হত হরফের পাশে মাত্রার সঙ্গে একটি মাত্র গোল চিহ্ন দিয়ে, অ৹৤ পরে তা প্রায় বর্তমানে প্রচলিত রীতির মতো গোল চিহ্নের নিচে হস়্ ধরনের চিহ্ন ব্যবহার চালু হয়েছে৤ যেমন-- এব    এবং

      অং অঃ ছিল স্বরবর্ণ, ক্ষ ছিল ব্যঞ্জনবর্ণের মধ্যে গণ্য৤ ‘শষস’ সমাবেশ ছিল অন্যরকম শ স ষ 

          মুদ্রণ প্রমাদের ভূত সেকালেও দেখা যায়-- 

যত্নে   

হরফ উলটানো লেখাও দেখা যায়৤

          ‘স্বত্বত্যাগ’ টাইপের হরফ সংযোগ এমন যে, কী-লেখা তা বোঝা কঠিন     

        

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (২৬ সেপ্টেম্বর ১৮২০ ২৯ জুলাই ১৮৯১) বাংলায় ইংরেজি পাংচুয়েশন মার্ক বা বিরাম চিহ্ন ব্যবহার শুরু করেন বলে শোনা যায়৤ কিন্তু ১৮৩১-এ বাংলা ছাপায় দাঁড়ি কমা, সেমিকোলন, প্রশ্ন চিহ্ন ইত্যাদি দেখা যায়৤ তখন বিদ্যাসাগরের বয়স মাত্র ১১বছর৤ দ্রষ্টব্য, পৃঃ- ৮৬, The Printed Bengali Character and its Evolution, Fiona G. E. Ross, Sahitya Samsad edition, 2009. কোলকাতার ব্যাপটিস্ট মিশন প্রেসে ১৮৩১-এ ছাপা বই থেকে উদাহরণটি সেখানে দেওয়া হয়েছে৤ খ্রিস্টিয় ধর্ম প্রচার পুস্তক বলে হয়তো এটি চোখ এড়িয়ে গিয়ে থাকবে৤

          সেযুগে একটি শব্দ পর-পর দুবার থাকলে তা লেখা হত শব্দটির পরে ২ বসিয়ে, যেমন--কেহ কেহ =কেহ২, পাড়ায় পাড়ায়=পাড়ায়২, পশ্চাৎ পশ্চাৎ=পশ্চাৎ২ 

         আবার ২ লিখে ৎ বোঝানো হয়েছে৤ “ব২সৰ” = বৎসর (পৃঃ ৪০)৤

           ব্ঝ, ব্ড, ব্ঢ, ব্ভ, স্স যুক্তবর্ণ এখন চালু নেই৤ এযুগে মফস্‌সল লিখতে স্স যুক্তবর্ণ ব্যবহার করে ‘মফস্সল’ লেখা যেতে পারে৤

          ‘নিকটে’ লিখতে শব্দ ভেঙে লাইনের শেষে ‘নি-’(নি হাইফেন) লিখে পরের লাইনে ‘কটে’ লেখা হয়েছে৤

          ‘যাই আমরা’ কথাটি লেখা হয়েছে, “যাইয়ামরা”(let us go)৤ সংখ্যা ‘৯০’ লেখা হয়েছে ‘নয়ি’৤

          ১৭৭৮-এ হ্যালহেডের বইয়ে ‘রনিলাম’(I fought) লেখা হয়ছে, যা মধুসূদনের লেখার রীতিতে পাই৤ মধুসূদনের((১৮২৪-৭৩)) জন্মের অনেক আগেও তা লেখা হত৤ 

    লাইনো টাইপে ‍্রু   ‍্রূ ছাঁচ বানিয়ে তা প্রয়োজনীয় স্থানে ব্যবহার করা হত৤ হাতে ছাপার টাইপের চেয়ে লাইনো টাইপের গঠন-প্রকৃতি ছিল অনেকটা আলাদা৤

          প্রাচীন দিনে ছিল অনেকটা -এর মতো দেখতে, 
কেবল মাত্রাহীন (= )

=


তাই যুক্তবর্ণ ষ৏ =

লেখা হত উপরে-নিচে বসিয়ে৤ এর খানিকটা আধুনিক আকৃতিও সেযুগে দেখা যায়
 ষ৏ =


এবং প্রায় একইরকম কেবল মাত্রায় তফাত =


=



উ-এর মাত্রা অর্ধ-চন্দ্রের মতো, আর ঙ-এর মাত্রা সম্পূর্ণ গোল কোনও ছেদ নেই৤ 

প্রাচীন দিনে-এর মতো অবয়বের একটু সামান্য হেরফেরে বোঝানো হত__ 

ঙ্গ== ঈ, কু, কৃ, গ্গ, ঙ্গ, জ্ঞ, দ্দ, দ্ধ  (৮ রকম)৤ 


          এরকম অনেক বিচিত্র হরফ গঠন সেসময়ে দেখা যেত যা আজকের আমাদের চোখে বেশ দুর্বোধ্য এবং অদ্ভুত মনে হবে৤ পাণ্ডুলিপি নির্ভর লেখা এবং ছাপার সাঁট আজকে অনেক পালটে গেছে, ভবিষ্যতে আরও পালটাবে, তখন এই একবিংশ শতকের ছাপা-ই ভবিষ্যতের মানুষের কাছে, তাদের সময়ের থেকে অনেক অন্যরকম মনে হবে৤ অবশ্য হাতের লেখা যত দ্রুত পালটে যায়, ছাপার হরফ তেমন সহজে পালটায় না, দীর্ঘকাল একই থেকে যায়, বা খুবই কম পালটায়৤  

   বইখানিতে ড়, য় আছে, যদিও তা তৎকালীন বর্ণমালার বাইরের বর্ণ, তবে বইখানিতে কোথাও ব্যবহারে “ঢ়” নেই, বর্ণমালাও নেই৤ হয়তো হাতের লেখায় প্রচলিত ছিল, এখানে তার ব্যবহার প্রয়োজন হয়নি৤ 



           বিদ্যাসাগর তাঁর “বর্ণপরিচয়”-এ বলেছেন, “ড, ঢ, য এই তিন ব্যঞ্জনবর্ণ, পদের মধ্যে অথবা পদের অন্তে থাকিলে, ড়, ঢ়, য় হয়; ইহারা অভিন্ন বর্ণ বলিয়া পরিগৃহীত হইয়া থাকে৤ কিন্তু যখন আকার ও উচ্চারণ উভয়ের পরস্পর ভেদ আছে, তখন উহাদিগকে স্বতন্ত্র বর্ণ বলিয়া উল্লেখ করাই উচিত; এই নিমিত্ত, উহারাও স্বতন্ত্র ব্যঞ্জনবর্ণ বলিয়া নির্দ্দিষ্ট হইয়াছে৤”(বর্ণপরিচয়, প্রথমভাগ, ১৮৫৫)
          হ্যালহেডের বইতে ইংরেজি এস(s) লেখা হয়েছে ইংরেজি এফ(f), আর ইংরেজি সি,টি(ct) পাশাপাশি বসিয়ে যুক্তবর্ণ করা হয়েছে, আর এদুটির সংযোগ বোঝানো হত এদের উপরে একটি চিহ্ন বসিয়ে, যেন তা টি-এর(t) একটি পশ্চাৎমুখী টিকি, যা সি-কে(c) স্পর্শ করেছে, অনেকটা বাংলা ‘ট’-এর উপরের ইলেক চিহ্নের মতো 






contraction.



♥♥
==========
ঋণ:
বিভিন্ন আকর গ্রন্থ, সাধারণ গ্রন্থ, পত্র-পত্রিকা, ইন্টারনেটের ওয়েবসাইট ও ব্লগ থেকে নানাভাবে প্রভূত সহায়তা গ্রহণ করা হয়েছে৤ তাঁদের সকলের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই৤ 

মনোজকুমার দ. গিরিশ
মণীশ পার্ক, কোলকাতা, ভারত 



পরবর্তী ৭ম অংশ দেখুন:

http://banglainternational.blogspot.in/2015/03/blog-post_10.html




সংশোধন, সম্পাদন, সংযোজন চলছে
সর্বশেষ পরিমার্জন ২৭/০৫/২০১৬



লেবেলসমূহ:

0টি মন্তব্য:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এতে সদস্যতা মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন [Atom]

<< হোম